ফিউজ কি? (What is Fuse)
ফিউজ হচ্ছে একটি ইলেক্ট্রিক, ইলেক্ট্রনিক অথবা মেকানিক্যাল ডিভাইস যা অতিরিক্ত কারেন্ট বা অভারলোড থেকে সার্কিটকে রক্ষা করে। এটি একটি প্রটেক্টর হিসেবেও কাজ করে এবং হোম এপ্লায়েন্স যেমন ফ্রিজ, টেলিভিশন, কম্পিউটারকে হাই ভোল্টেজ হতে রক্ষা করে। থমাস আলভা এডিসন ১৯৮০ সালে এটি আবিস্কার করে। অনেক প্রকারের ফিউজ এর ব্যবহার আছে কিন্তু সব ফিউজের কাজের ধরন একই। types of fusesফিউজ কিভাবে কাজ করে (How does fuse works)
ফিউজ এর মেটাল এমনভাবে তৈরি বা ডিজাইন করা হয় যা খুবই অল্প পরিমান কারেন্ট বহন করতে পারে। যখন শর্ট সার্কিট বা অভারলোড হয় তখন উচ্চ প্রবাহের কারেন্ট তাপ তাপ উৎপন্ন করে ফিউজ এর মেটাল বা ইলিমেন্টকে গলিয়ে ফেলে এবং একটি গ্যাপ তৈরি করে। এই গ্যপ ফিউজের কারেন্ট এর ফ্লোকে বিচ্ছিন্ন করে। মুলত এভাবেই ফিউজ কাজ করে। যদি ফিউজ একবার পুড়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এটি সার্কিটে পুনরায় কারেন্ট প্রবাহের জন্য পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়।ফিউজের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of fuse)
একটি ফিউজে সাধারনত নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো থাকেঃকারেন্ট রেটিংঃ কন্টিনিউয়াস প্রবাহিত সর্বাধিক পরিমান কারেন্ট ফিউজকে না গলিয়ে ধরে রাখে তাকেই কারেন্ট রেটিং হিসেবে ধরা হয়। এটা হচ্ছে কারেন্টের প্রবাহের ক্ষমতা যাকে এম্পিয়ার দিয়ে পরিমাপ করা হয়। কারেন্ট রেটিং একটি তাপীয় বা থার্মাল বৈশিষ্ট্য।
Current (Cin)=75%Current (rating)
ভোল্টেজ রেটিংঃ যদি ভোল্টেজ ফিউজের সাথে সিরিজে সংযুক্ত হয় তবে এটি ভোল্টেজ রেটিং বাড়াতে পারে না। types of fuses
V(fuse) >V(open ckt)
I2t রেটিং: এটা হচ্ছে সর্বমোট এনার্জি যা ফিউজ এলিমেন্ট দিয়ে প্রবাহিত হয় যখন শর্ট সার্কিট হয়। এটা ফিউজের তাপশক্তি পরিমাপ করে এবং উৎপাদন করে যখন ফিউজ ব্রেক করে।
ভাঙ্গার ক্ষমতা বা বাধাঃ এটা হচ্ছে কারেন্টের বাধাবিঘ্ন ছাড়াই সর্বোচ্চ প্রবাহিত হওয়ার রেটিং যেটাকে ইন্টেরাপটিং বা বাধা অথবা ব্রেকিং ক্যপাসিটি বা ভাংগার ক্ষমতা হিসেবে পরিচিত।
Breaking capacity > maximum rated voltage এবং Breaking capacity <short ckt current
ভোল্টেজ ড্রপঃ ফিজের ইলিমেন্ট গলে যায় যখন অতিরিক্ত কারেন্ট সার্কিটে ঢুকে যায় এবং সার্কিটকে খুলে দেয়। একারনেই ভোল্টেজ ড্রপ হয় এবং রেজিস্ট্যান্সের পরিবর্তন কমে যায়।
টেম্পেরেচারঃ অপারেটিং টেম্পেরেচার বেশি হলে এবং কারেন্ট রেটিং কম হলে ফিউজ গলে যায় ।
ফিউজের প্রকারভেদ (Types of fuses) types of fuses
সাধারনত ফিউজ দুই প্রকারঃ১। ডিসি ফিউজঃ ডিসি ফিউজ সাইজে বড়। ডিসি সিস্টেমে ওভার কারেন্ট প্রবাহের কারনে উৎপাদিত তাপে মেটালিক তার গলে যায় এবং আর্কের উৎপন্ন হয়। এই উৎপাদিত আর্ককে নিয়ন্ত্রন বা বন্ধ করা খুবই কঠিন । এটা বন্ধ করতে ইলেক্ট্রোডকে একটু বেশি দুরুত্তে স্থাপন করা হয়। ডিসি ফিউজ এসি ফিউজের চেয়ে বড় যার কারনে ইলেক্ট্রোডের বেশি হয় যার ফলে ফিউজে আর্ক তৈরী কমে যায়।
২। এসি ফিউজঃ এসি ফিউজের সাইজ একটু ছোট। আমরা জানি যে এসি সাপ্লাই প্রতি সেকেন্ডে ৫০ অথবা ৬০ সাইকেল পার সেকেন্ডে সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ হয়ে যায়। তাই এই প্রকারের ফিউজে আর্ক সৃষ্টি হবার কোন সম্ভাবনা থাকে না। types of fuses
এসি ফিউজ ভোল্টেজ অনুযায়ী দুই প্রকার
১। লো ভোল্টেজ ফিউজ
A) কার্টিজ টাইপ ফিউজ i) ডি টাইপ কার্টিজ ফিউজ ii) HRC ফিউজB) ব্লেড টাইপ ফিউজ
C) বোল্টেড টাইপ ফিউজ
D) রি ওয়্যার্যবল ফিউজ
E) স্টিকার টাইপ ফিউজ
F) সুইচ টাইপ ফিউজ
G) ড্রপ আউট ফিউজ
২। হাই ভোল্টেজ ফিউজ
A) কার্টিজ টাইপ HRC ফিউজB) লিকুইড টাইপ HRC ফিউজ
C) এক্সপালশন টাইপ HRC ফিউজ
D) রিসেট্যাবল ফিউজ
ফিউজের ব্যবহার (Application of fuses)
- মোটর, ট্রান্সফর্মার এবং পাওয়ার সিস্টেমকে অভার কারেন্ট কন্ডিশন থেকে রক্ষা করা।
- ইলেক্ট্রিক্যাল এপ্লাইয়েন্স এবং হাউস ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ডে ব্যবহার করা হয়।
- অটোমোটিভ কার এবং ইলেক্ট্রিক ভেহিক্যালস এ ব্যবহার হয় ।
- গেমিং সিস্টেম এবং স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়। types of fuses
Post a Comment