Image source
আজকে আমাদের বিজনেস আইডিয়ার দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বে আমরা শরিষার তৈল এর বিজনেস আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এই বিজনেস টি আপনি শহর বা গ্রামে উভয় জায়গাতে করতে পারেন। এই বিজনেস এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে। শরিষার তৈল খুবি প্রয়োজনীয় একটা জিনিস যা প্রত্যেক পরিবারে প্রায় নিয়মিত ব্যবহার হয়ে থাকে।আপনি মাত্র ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে এই বিজনেসটি শুরু করতে পারেন।
এই পর্বে আমরা মোটামুটি ব্যবসাটি শুরু করতে কি কি মেশিন লাগবে, কি কি কাচামাল লাগবে, কিভাবে বাজারজাত করবেন সব বিষয়গুলো খুব পরিস্কারভাবে আলোচনা করব।
প্রাথমিকভাবে শুরু করতে গেলে আপনার এই বিজনেস এর জন্য প্রাথমিক ভাবে দুইটি মেশিন লাগবে।
শরিষার তেল ভাঙ্গানোর মেশিন
ছোট আকারের তেল ভাংগানোর মেশিনের মুল্য পড়বে মোটামুটি ৬০-৬৫ হাজার টাকা। তবে এর চেয়ে কমও পেতে পারেন। মেশিন এর কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম একটু কম বেশী হতে পারে।
এই মেশিনটি দিয়ে মোটামুটী আপনি প্রতি ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯০ কেজি শরিষা ভাংগাতে পারবেন।
এই মেশিন দিয়ে একই সাথে তেল এবং খৈল দুটাই পাওয়া যায়।
ছোট আকারের এই ফিল্টার মেশিনের দাম পড়বে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। মেশিনের দাম একটু কম বেশি হতে পারে মেশিনের কোয়ালিটি উপর ভিত্তি করে।
এই ফিল্টার মেশিন দিয়ে আপনি প্রায় প্রতি ঘন্টায় ১৫০ থেকে ১৫৫ কেজি তেল ফিল্টার করতে পারবেন।
তাহলে এই দুইটি মেশিন আপনি যদি কিনেন তাহলে মোট মুল্য পড়বে ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
এখন মেশিন দুটি কেনা হয়ে গেলে মেশিন দুইটি একটি রুমের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। মেশিন স্থাপন করে প্রয়জনীয় বেদুতিক সংযোগ দিয়ে মেশিনটি চালনার উপযোগী করে তুলতে হবে।
ব্যবসাতে বেশী পরিমান লাভ করতে চাইলে চাষীদের কাছে থেকে শরিষা সংগ্রহ করুন। চাষীদের কাছ থেকে শরিষা কিনলে আপনি প্রতি মণ এ ১৩-১৫ শত টাকায় পেতে পারেন। সিজেন ছাড়া কিনলে আপনি ১৭ থেকে ১৮ শত টাকায় প্রতি মণ শরিষা কিনতে পারবেন।
সবশেষে বলা যেতে পারে যদি আপনি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে কোন ব্যবসা করতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
সবসময় মনে রাখবেন ব্যবসা করতে গেলে সময় শ্রম বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে হবে। সামান্য লসে ভেঙ্গে পড়লে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন না। ব্যবসাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা আসবে তাতে ভেঙ্গে পড়লে হবে না।
আজকে আমাদের বিজনেস আইডিয়ার দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বে আমরা শরিষার তৈল এর বিজনেস আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এই বিজনেস টি আপনি শহর বা গ্রামে উভয় জায়গাতে করতে পারেন। এই বিজনেস এর চাহিদা প্রচুর রয়েছে। শরিষার তৈল খুবি প্রয়োজনীয় একটা জিনিস যা প্রত্যেক পরিবারে প্রায় নিয়মিত ব্যবহার হয়ে থাকে।আপনি মাত্র ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে এই বিজনেসটি শুরু করতে পারেন।
এই পর্বে আমরা মোটামুটি ব্যবসাটি শুরু করতে কি কি মেশিন লাগবে, কি কি কাচামাল লাগবে, কিভাবে বাজারজাত করবেন সব বিষয়গুলো খুব পরিস্কারভাবে আলোচনা করব।
প্রাথমিকভাবে শুরু করতে গেলে আপনার এই বিজনেস এর জন্য প্রাথমিক ভাবে দুইটি মেশিন লাগবে।
১। শরিষার তেল ভাঙ্গানোর মেশিন
২। ওয়েল ফিল্টারিং মেশিন
২। ওয়েল ফিল্টারিং মেশিন
শরিষার তেল ভাঙ্গানোর মেশিন
ছোট আকারের তেল ভাংগানোর মেশিনের মুল্য পড়বে মোটামুটি ৬০-৬৫ হাজার টাকা। তবে এর চেয়ে কমও পেতে পারেন। মেশিন এর কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম একটু কম বেশী হতে পারে। এই মেশিনটি দিয়ে মোটামুটী আপনি প্রতি ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯০ কেজি শরিষা ভাংগাতে পারবেন।
এই মেশিন দিয়ে একই সাথে তেল এবং খৈল দুটাই পাওয়া যায়।
ওয়েল ফিল্টারিং মেশিন
শরিষা ভাঙ্গানো মেশিন কেনার পরে আপনাকে তৈল ফিল্টার করার জন্য আপনাকে একটি ফিল্টার মেশিন কিনতে হবে। তৈল ভাংগানোর পর এটা সরাসরি ব্যবহারের উপযোগী থাকে না। তাই একে ফিল্টারিং করে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য ফিল্টারিং মেশিং ব্যবহার করতে হয়।ছোট আকারের এই ফিল্টার মেশিনের দাম পড়বে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। মেশিনের দাম একটু কম বেশি হতে পারে মেশিনের কোয়ালিটি উপর ভিত্তি করে।
এই ফিল্টার মেশিন দিয়ে আপনি প্রায় প্রতি ঘন্টায় ১৫০ থেকে ১৫৫ কেজি তেল ফিল্টার করতে পারবেন।
তাহলে এই দুইটি মেশিন আপনি যদি কিনেন তাহলে মোট মুল্য পড়বে ১ লক্ষ ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
এখন মেশিন দুটি কেনা হয়ে গেলে মেশিন দুইটি একটি রুমের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। মেশিন স্থাপন করে প্রয়জনীয় বেদুতিক সংযোগ দিয়ে মেশিনটি চালনার উপযোগী করে তুলতে হবে।
কাচামাল সংগ্রহ
এরপর শরিষার তৈল তৈরির জন্য আপনাকে বাজার থেকে অথবা হোল সেলার অথবা চাষীদের কাছে থেকে শরিষা সংগ্রহ করতে পারেন।ব্যবসাতে বেশী পরিমান লাভ করতে চাইলে চাষীদের কাছে থেকে শরিষা সংগ্রহ করুন। চাষীদের কাছ থেকে শরিষা কিনলে আপনি প্রতি মণ এ ১৩-১৫ শত টাকায় পেতে পারেন। সিজেন ছাড়া কিনলে আপনি ১৭ থেকে ১৮ শত টাকায় প্রতি মণ শরিষা কিনতে পারবেন।
ভাঙ্গানো
১৮০০ টাকা দিয়ে যদি ১ মণ অর্থাৎ শরিষা কিনেন ভাংগালে আপনি ১৫ কেজি তেল এবং ২৪ কেজি খৈল পাবেন। এবার যদি আপনি তৈল এবং খৈল বিক্রি করতে চান তাহলে আলাদা আলাদা হোল সেলাদের সাথে যোগাযোগ করে বিক্রি করতে হবে।
বিক্রয়ের হিসাব
হোল সেলারের কাছে যদি তেল বিক্রি করেন তাহলে প্রতি কেজি তেল ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
প্রতি কেজি ১২০ টাকা হলে ১৫ কেজি তেল বিক্রি করতে পারবেন ১২০x১৫ = ১৮০০ টাকা
পাইকারী রেটে খৈল বিক্রি করতে চাইলে প্রতি কেজি আপনি ৩০ টাকা করে বিক্রি করতে পারবেন।
প্রতি কেজি ৩০ টাকা হলে ২৪ কেজি খৈল বিক্রি করতে পারবেন ৩০x২৪ = ৭২০ টাকা
এখন প্রতি মন শরিষা আপনি তৈল এবং খৈল ভাংগিয়ে বিক্রি করতে পারবেন ২৫২০ টাকা।
প্রতি কেজি ১২০ টাকা হলে ১৫ কেজি তেল বিক্রি করতে পারবেন ১২০x১৫ = ১৮০০ টাকা
পাইকারী রেটে খৈল বিক্রি করতে চাইলে প্রতি কেজি আপনি ৩০ টাকা করে বিক্রি করতে পারবেন।
প্রতি কেজি ৩০ টাকা হলে ২৪ কেজি খৈল বিক্রি করতে পারবেন ৩০x২৪ = ৭২০ টাকা
এখন প্রতি মন শরিষা আপনি তৈল এবং খৈল ভাংগিয়ে বিক্রি করতে পারবেন ২৫২০ টাকা।
অনান্য খরচ
২০০ থেকে ৩০০ টাকা হতে পারে। শ্রমিক এবং বিদ্যুৎ বিল।
তাহলে প্রতি মণে লাভ = ২৫০০-১৮০০ = ৭০০ টাকা
বিদ্যৎ বিলঃ ৩০০ টাকা (৭০০-৩০০) টাকা
প্রতি মণ এ লাভ = ৪০০ টাকা
প্রতি ঘন্টায় আপনি উপরোক্ত বর্নিত মেশিন দিয়ে ২-৩ মণ শরিষা ভাংগাতে পারবেন।
দিনে ৬ ঘন্টায় মেশিনটি দিয়ে আপনি খুব সহজেই ১২ মণ শরিষা ভাংগাতে পারেন।
অতঃপর প্রতি ঘন্টায় আপনি লাভ করতে পারবেন ৮০০ টাকা।
১২ মন শরিষাতে আপনার সর্বমোট লাভ = ১২x৪০০ টাকা ৪৮০০ টাকা
বিজনেসটি শুরু করলে আপনার মার্কেটিং নিয়ে কোন টেনশন করতে হবে না। যদি ১২০ টাকায় তৈল বিক্রি করেন হোল সেলাররা সরাসরি আপনার বাসা থেকে তৈল কিনে নিয়ে যাবে। তাই বলতে গেলে মার্কেটিং নিয়ে কোন চিন্তাই করতে হবে না।
লাভের হিসাব
যদি সর্বোচ্চ ১৮০০ টাকা দিয়ে ১ মণ শরিষা কিনেন তাহলে আপনি ২৫০০ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।তাহলে প্রতি মণে লাভ = ২৫০০-১৮০০ = ৭০০ টাকা
বিদ্যৎ বিলঃ ৩০০ টাকা (৭০০-৩০০) টাকা
প্রতি মণ এ লাভ = ৪০০ টাকা
প্রতি ঘন্টায় আপনি উপরোক্ত বর্নিত মেশিন দিয়ে ২-৩ মণ শরিষা ভাংগাতে পারবেন।
দিনে ৬ ঘন্টায় মেশিনটি দিয়ে আপনি খুব সহজেই ১২ মণ শরিষা ভাংগাতে পারেন।
অতঃপর প্রতি ঘন্টায় আপনি লাভ করতে পারবেন ৮০০ টাকা।
১২ মন শরিষাতে আপনার সর্বমোট লাভ = ১২x৪০০ টাকা ৪৮০০ টাকা
বিজনেসটি শুরু করলে আপনার মার্কেটিং নিয়ে কোন টেনশন করতে হবে না। যদি ১২০ টাকায় তৈল বিক্রি করেন হোল সেলাররা সরাসরি আপনার বাসা থেকে তৈল কিনে নিয়ে যাবে। তাই বলতে গেলে মার্কেটিং নিয়ে কোন চিন্তাই করতে হবে না।
সবশেষে বলা যেতে পারে যদি আপনি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে কোন ব্যবসা করতে চান তাহলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
সবসময় মনে রাখবেন ব্যবসা করতে গেলে সময় শ্রম বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে হবে। সামান্য লসে ভেঙ্গে পড়লে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন না। ব্যবসাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা আসবে তাতে ভেঙ্গে পড়লে হবে না।
কত ভোল্টে চলবে মেশিন টা
ReplyDeletePost a Comment