ব্যবসাটি শুরু করলে পণ্য বিক্রির জন্য আপনাকে টেনশন করতে হবে না। শহর এবং গ্রামে এই বিজনেস শুরু করতে পারেন এবং পণ্য বিক্রি আপনি সব যায়গাতেই করতে পারবেন।
আজকের বিজনেস আইডিয়া হল হলুদ তৈরির বিজনেস। আপনার সবাই হলুদের সাথে বেশ ভালভাবেই পরিচিত। হলুদ সব পরিবারের রান্নার কাজের ব্যবহার হওয়া একটি কমন উপাদান। হলুদ ছাড়া আপনার তরকারির রং ই আনতে পারবেন না। তাই হলুদ রান্নার জন্য ব্যবহৃত নিত্য প্রয়জনীয় উপাদান।
আজকে আমি আপনাদেরকে এই হলুদ মেকিং এর বিজনেসটি করতে কি কি লাগবে, কত টাকা লাগবে, কি কি মেশিন লাগবে, কতটুকু জায়গা লাগবে, কিভাবে শুরু করবেন,মালামাল কিভাবে বিক্রি করবেন সমস্ত বিষগুলো পরিস্কারভাবে বর্ননা করব। সম্পুর্ন ব্লগ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমি সাধারনত আপনাদের সাথে সেমি অটো এবং মেনুয়াল মেশিনগুলো সম্পর্কে আইডিয়া দেই। কারন অটোমেটিক মেশিনগুলো দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে অল্প পুজিতে শুরু করা সম্ভব নয়।
হলুদ তৈরির জন্য আপনাকে মোট দুইটি মেশিন কিনতে হবে
১। প্যাকিং মেশিন ২। হলুদ ভাংগানোর মেশিনহলুদ ভাংগানোর মেশিন
হলুদ ভাংগানোর জন্য আপনার এই মেশিনটির দরকার হবে। মেশিনটির দাম পড়বে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে মেশিনটি কিনতে পারবেন। অথবা আপনি এর চেয়ে কমেও কিনতে পারেন মেশিনের কোয়ালিটির উপর ভিত্তি করে। মেশিনটি দিয়ে প্রতি ঘন্টায় ৬৫ কেজি হলুদ ভাংগাতে পারবেন।
প্যাকিং মেশিন
হলুদ ভাংগানোর পরে সেগুলোকে প্যাকেটজাত করার জন্য আপনার একটি প্যাকিং মেশিন কিনতে হবে। চিত্রে দেখানো প্যাকিং মেশি এর মুল্য ৩ হাজার টাকা। আপনি নবাবপুরে গেলে এই মেশিনের নাম বললেই তারা আপনাকে বিভিন্ন ক্যাপাসিটির এবং সাইজের মেশিন দেখাবে। আপনার চাহিদার উপর ভিত্তি করে মেশিন কিনে নিবেন।মেশিন স্থাপনা
মেশিন দুটি কেনার পরে মেশিন দুটিকে একটি রুমের মধ্যে স্থাপন করতে হবে এবং মেশিন চালানোর উপযোগী করতে হবে। মেশিন চালানোর উপযোগী হয়ে গেলে কাচামাল সংগ্রহ করতে হবে।কাচামাল সংগ্রহ
শুকনা হলুদ হোল সেলার বা পাইকারী সেলারের কাছে থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। পাইকারী দরে কিনলে হয়ত ১০০ টাকা কেজি হলুদ কিনতে পারবেন। অথবা চাষীদের কাছে থেকে আপনি আরো কমে পেতে পারেন।ভাংগানো এবং প্যাকিং
শুকনা হলুদ মেশিন এ ভাঙ্গিয়ে গুড়া করে ফেলতে হবে। হলুদ গুড়া করা হয়ে গেলে এবার প্যাকিং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এবার কত গ্রাম করে প্যাকিং করবেন সেটা ঠিক করে একটা ডিজিটাল ওয়েট মিটার দিয়ে মেপে প্যাকিং মেশিনের সাহায্যে প্যাকিং করে ফেলবেন। প্যাকিং হয়ে গেলে এবার বিক্রির পালা।বিক্রি
প্যাকিং হয়ে গেলে আপনি খোলাভাবেও বিক্রি করতে পারেন আবার প্যাকেট করে বাজারজাত করতে পারেন। আপনি যদি নিজের ব্র্যান্ড করে বিক্রি করতে চান তাহলে বি এস টি আই এর অনুমোদন লাগবে। আর যদি হোল সেলারের কাছে বিক্রি করতে চান তবে ট্রেড লাইসেন্স প্রয়জোন হতে পারে।হোল সেলারদের কাছে পাইকারী দরেও বিক্রি করতে পারেন। অথবা যেকোন মুদী দোকানের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন এবং তাদের কাছে অর্ডার নিয়েও হলুদ ভাঙ্গিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।লাভের হিসাব
প্রতি কেজি হলুদের দাম ১০০ টাকা হলে গুড়া হলুদ বিক্রি করতে পারবেন ২০০ টাকা কেজি । যদি প্যাকিং খরচ প্রতি কেজিতে ২০ টাকা ধরেন তাহলে ৮০ টাকা কেজি প্রতি লাভ করতে পারেন।অতপর ব্যবসায় ভাল লাভ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই পন্য মার্কেটিং এর বিষয়টা গুরুত্ত দিয়ে দেখতে হবে। যত বেশি মার্কেটিং ভাল করতে পারবেন তত বেশী সেল করতে পারবেন এবং প্রফিট করতে পারবেন।
যেখান থেকে মেশিন ক্রয় করবেন
জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংসরোজগঞ্জ বাজার চুয়াডাঙ্গা
ওয়েবসাইট - www.janataengineering.com
ই-মেইল- janataengineering786@gmail.com
মোবাইল - +88 01973 243484 +88 01883 486162
Post a Comment