একটি ইঞ্জিনের পিস্টনের সর্বমোট চারটি স্ট্রোক মিলিয়ে একটি পরিপূর্ণ ওয়ার্কিং সাইকেল তৈরি হয়।
১। সাকশন স্ট্রোক (suction stroke): পিস্টন সর্বোচ্চ অবস্থান টপ ডেড সেন্টার (Top
dead center) বা T.D.C-তে ওঠার সাথে সাথে ইনটেক পাের্ট খুলে যায় এবং বায়ু বা বায়ুমিশ্রিত গ্যাস প্রবেশ পথ ঢুকে যায় । এরপর পিস্টন T.D.C থেকে B.D.C(Bottom Dead Center) তে যাত্রা করলে তখন এগজস্ট পাের্ট বন্ধ হয়। এর ফলে বাতাস খুব দ্রুত সিলিন্ডারের ভিতর প্রবেশ করে। এই বায়ু বা চার্জ এয়ার প্রবেশ গতি জড়তার ফলে পিস্টনটি সর্বনিম্ন অবস্থান
অতিক্রম করার পরও কিছুসময় চলতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে অ্যাডমিশন বা সাকশন স্ট্রোক বলা হয়।
dead center) বা T.D.C-তে ওঠার সাথে সাথে ইনটেক পাের্ট খুলে যায় এবং বায়ু বা বায়ুমিশ্রিত গ্যাস প্রবেশ পথ ঢুকে যায় । এরপর পিস্টন T.D.C থেকে B.D.C(Bottom Dead Center) তে যাত্রা করলে তখন এগজস্ট পাের্ট বন্ধ হয়। এর ফলে বাতাস খুব দ্রুত সিলিন্ডারের ভিতর প্রবেশ করে। এই বায়ু বা চার্জ এয়ার প্রবেশ গতি জড়তার ফলে পিস্টনটি সর্বনিম্ন অবস্থান
অতিক্রম করার পরও কিছুসময় চলতে থাকে। এই প্রক্রিয়াকে অ্যাডমিশন বা সাকশন স্ট্রোক বলা হয়।
২। কম্প্রেশন স্ট্রোক (Compression stroke): দ্বিতীয় ধাপে ক্র্যাংকশ্যাফট এর সাহায্যে পিস্টন B.D.C থেকে T.D.C (Ton Dead Center) এর দিকে উঠতে শুরু করলে এ সময় সিলিন্ডার হেড এর সব ভালভ বন্ধ থাকায় সিলিন্ডারের ভিতরের বায়ু অথব চার্জ এয়ারে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। এমতাবস্থায় পিস্টন যখন T.D.C তে পৌছে তখন চাপ ৩০ হতে ৩৫ অ্যাটমােসফিয়ারে এবং উত্তাপ প্রায় ৫০০°c এ পৌছায় । যদি ডিজেল ফুয়েল হয় তবে তা মাত্র ২০০°C উত্তাপেই প্রজ্বলিত হয়ে থাকে। ডিজেল যখন ৫০০°C তাপমাত্রায় প্রবেশ করার সাথে তা বিস্ফোরক সহকারে খনিকের মধ্যে প্রজ্বলিত হয়। পিস্টনের T.D.C তে এই ডিজেল ফুয়েল পৌছানাের ঠিক পূর্বক্ষণে ইনজেক্টরের সাহায্যে ইনজেক্ট করে বিস্ফোরণ ঘটানাে হয়। এই প্রক্রিয়াকে কম্প্রেশন স্ট্রোক হয়।
৩। পাওয়ার স্ট্রোক (Power stroke): এই স্ট্রোকে ফুয়েল অয়েল ইনজেক্টর দ্বারা অতি সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কণারূপে সিলিন্ডারের মধ্যে স্প্রে করা হয়। সিলিন্ডারের ভিতরে প্রচণ্ড চাপের কারনে সৃষ্ট তাপে ফুয়েল বিস্ফোরণ ঘটে ও প্রচণ্ড তাপশক্তি উৎপন্ন করে এবং চাপ ৫০ থেকে ৬০ অ্যাটমােসফিয়ারে পৌছায়। এবং চাপ বৃদ্ধি হওয়ার কথা। কিন্তু পিস্টন নিচের দিকে নামতে থাকে বলে শূন্যতা সৃষ্টি হয়ে চাপের পরিমাণ ৫০-৬০ অ্যাটমােসফিয়ারেই স্থির রাখে। এর ফলে পিস্টন B.D.C তে পৌছানাের আগেই ইনজেকশন বন্ধ হয়ে যায় এবং ততক্ষণে চাপও বেশ কমে যায়। এই সম্পুর্ন প্রক্রিয়াকে পাওয়ার স্ট্রোক বলে। পাওয়ার স্ট্রোকেই ইঞ্জিন তার প্রয়ােজনীয় শক্তি উৎপাদন কর থাকে।
৪। এগজস্ট স্ট্রোক (Exhaust stroke): এগজস্ট স্ট্রোকের কাজ এগজস্ট ভালভ বন্ধ হবার আগ পর্যন্ত চলতে থাকে। এই ধাপে ক্র্যাংক শ্যাফটের দ্বারা পিস্টন B.D.C তে পৌছানোর পুর্বেই এগজস্ট ভালভ খুলে যায়। যার ফলে দাহ্য গ্যাস এগজস্ট পাের্ট দিয়ে বের হতে শুরু করে এবং পিস্টন B.D.C থেকে উপরের দিকে T.D.C তে উঠতে থাকে। যার ফলে সিলিন্ডারের ভিতরের অবশিষ্ট পােড়া গ্যাস নিষ্কাশিত হয়। এই সম্পুর্ন প্রক্রিয়াকে এগজস্ট স্ট্রোক বলে।
ইঞ্জিনের এই চারটি স্ট্রোক সমন্বয়ে একটি সাইকেল পূর্ণ হয়। ইঞ্জিন যতক্ষণ চলতে থাকে ততক্ষণ স্ট্রোক ও সাইকেল
ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত হতে থাকে। এইভাবেই চার স্ট্রোকবিশিষ্ট ইঞ্জিন কার্যসম্পাদন করে থাকে।
ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত হতে থাকে। এইভাবেই চার স্ট্রোকবিশিষ্ট ইঞ্জিন কার্যসম্পাদন করে থাকে।
Post a Comment