জান্নাতের এবং
এর বর্ননা
মহান
আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জন্য তৈরি করে
রেখেছেন চিরস্থায়ী সুখের আবাসন জান্নাত। এই জান্নাত
কেমন হবে, তার বর্ণনা
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন মাজিদে এবং বিশ্বনবী (সা.)
হাদিসে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।
জান্নাত
হল আরবি শব্দ যার
অর্থ উদ্যান বা বাগান। নবী
(সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নেক বান্দাদের
জন্য এমন কিছু নিয়ামত
প্রস্তুত করে রেখেছি যা
কোনো চোখ দেখেনি, কোনো
কান শোনেনি এবং কোনো মানুষের
মনে এ সম্পর্কে কোনো
ধারণাও জন্মায়নি। (সহিহ বুখারি, হাদিস
: ২৯৯৪)
মহা নবী (সা.)
বলেছেন বলেছেন, মুমিনদের
জন্য জান্নাতে রয়েছে মোতির গাঁথুনি করা একটি তাঁবু
যার এর
উচ্চতা ৩০ মাইল এবং
এর প্রত্যেক কোণে মুমিনদের জন্য
এমন নারীরা থাকবে যাদের কেউ কখনো দেখেনি।
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯৩)
রাসুলুল্লাহ
(সা.) বলেছেন (আনাস ইবন মালেক
(রা.) থেকে বর্ণিত) জান্নাতে
এমন একটি বৃক্ষ রয়েছে,
কোনো সওয়ারি তার ছায়ায় ১০০
বছর ধরে চললেও তা
অতিক্রম করতে পারবে না।
(সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯০)
মহান
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে নবী! যারা
ঈমান আনে এবং সত্কর্ম
করে, তাদের সুখবর দিন, তাদের জন্য
রয়েছে এমন জান্নাত, যার
পাদদেশে নহরসমূহ প্রবহমান থাকবে। তাদের
যখনই ফলমূল খেতে দেওয়া হবে,
তারা বলবে, এরূপ ফলই তো
আগে আমাদের দেওয়া হতো। তাদের বাহ্যিক
দৃষ্টিতে একই ধরনের ফলমূল
দেওয়া হবে (তবে স্বাদ
হবে ভিন্নরকমের)। এছাড়া সেখানে
তাদের জন্য রয়েছে পবিত্র
সঙ্গী। তারা সেখানে চিরকাল
বসবাস করবে। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫) । জান্নাতে
থাকবে মোট চারটি নদী:
একটি হবে পানির, একটি
মধুর, একটি দুধের এবং
একটি হবে শরাবের।
জান্নাতিদের আকৃতি কেমন হবে
আমাদের
প্রিয়নবী বলেছেন, আমার ৭০ হাজার
উম্মত একসঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের চেহারা হবে পূর্ণিমার চাঁদের
মতো উজ্জ্বল। (সহিহ বুখারি, হাদিস
: ২৯৮৯)
আবু
হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে
প্রবেশকারী প্রথম দলের চেহারা হবে
১৪ তারিখের চন্দ্রের মত এবং জান্নাতে তাদের থুতু আসবে না
এমনকি নাকে
সর্দি ঝরবে না, মলত্যাগ
করতে হবে না। তাদের
ঘাম হবে মেশকের মতো
সুগন্ধিযুক্ত। জান্নাতে প্রত্যেকে দুজন করে স্ত্রী
পাবে, অত্যধিক সৌন্দর্যের কারণে তাদের মাংস ভেদ করে
হাড়ের ভেতরের মজ্জাও দেখা যাবে। জান্নাতিদের
মধ্যে মতভেদ কখনই দেখা দেবে
না। থাকবে না কোন পারস্পরিক
হিংসা-বিদ্বেষ । সবাই
এক মন, এক প্রাণ
হয়ে থাকবে। সকাল এবং বিকাল
তারা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণায় রত থাকবে। (সহিহ
বুখারি, হাদিস : ২৯৯৫)
রাসুলুল্লাহ
(সা.) বলেছেন, জান্নাতিরা কখনো অসুস্থ হবে
না, কখনো তাদের নাকে
সর্দি ঝরবে না। থুতু
আসবে না। তাদের বাসন
হবে সোনা ও রুপার।
চিরুনি হবে স্বর্ণনির্মিত। তাদের
আংটিসমূহ মুক্তার মতো চিকচিক করতে
থাকবে। (বুখারি, হাদিস : ২৯৯৬)
সকল
জান্নাতিরা হবে ৩৩ বছরের
যুবক-যুবতি, দৈর্ঘ্যে হবে ৬০ হাত,
জান্নাতিরা অতি উজ্জ্বল চেহারার
অধিকারী হবে । জান্নাতে
যে ফলমূল দেওয়া হবে, তা দেখতে
এক রকম হলেও স্বাদে-গন্ধে হবে ভিন্নতর ও
বৈচিত্র্যময়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন যে , ‘তারা
পরিধান করবে চিকন ও
পুরু রেশমি বস্ত্র এবং মুখোমুখি হয়ে
(গদিতে) বসবে।’
(সুরা দোখান, আয়াত : ৫৩)
জান্নাতি হুর কেমন হবে
জান্নাতি
রমণীদের কোরআনের ভাষায় বলা হয় ‘হুর’ মহানবী
(সা.) বলেছেন, জান্নাতি রমণীদের চার রঙে সৃষ্টি
করা হয়েছে। যেমন—সাদা, হলদে, সবুজ ও লাল।
তাদের চুল লবঙ্গ দ্বারা
সৃষ্টি। পা থেকে হাঁটু
পর্যন্ত সুগন্ধি জাফরানের দ্বারা সৃষ্টি। হাঁটু থেকে নাভি পর্যন্ত
মৃগনাভির দ্বারা তৈরি, নাভি থেকে ঘাড়
পর্যন্ত আম্বরের তৈরি, ঘাড় থেকে মাথা
পর্যন্ত কাফুরের তৈরি। যদি একজন রমণী
পৃথিবীতে সামান্য থুতু নিক্ষেপ করত,
তাহলে সমগ্র পৃথিবী সুঘ্রাণে মুখরিত হয়ে যেত, তাদের
বক্ষের মধ্যে আল্লাহর নাম ও স্বামীর
নাম লেখা থাকবে। প্রত্যেকের
হাতে ১০টি করে স্বর্ণের
কাঁকন থাকবে। প্রত্যেক আঙুলে থাকবে মুক্তার আংটি এবং উভয়
চরণে থাকবে জহরতের নূপুর।
মুমিনের
জন্য জান্নাত হলো চিরসুখের ঠিকানা।
সেখানে সুখশান্তির কমতি থাকবে না।
সুখশান্তি এবং আরাম-আয়েশের জন্য যাপ্রদান করা প্রয়োজন তার সব কিছুই মুমিনগনদের জান্নাতে প্রদান
করা হবে। স্বামী-স্ত্রী উভয় মুমিন হলে স্বামী তার দুনিয়ার স্ত্রী পাবে। অন্যথায় স্বামী
মুমিন হলে তার জন্য অন্য স্ত্রীর ব্যবস্থা করা হবে। আর শুধু স্ত্রী মুমিন হলে তার জন্য
সুখের যাবতীয় সুব্যবস্থা থাকবে। (দুররুন-নাসিহিন : ১/১০৬)
jannatul ferdous waz ,bengali waz,abu toha
adnana,jannati hur kemon hobe,narira jannate ki pabe, talak dewar purbe
koronio, jannati hur der sathe ki ki kora jabe,jannater bornona by mizanur
rahman azhari,jannater bornona,jannater waz,jannat waz, jannater neyamot,জান্নাতি নারী,জান্নাতের প্রশান্তি,সর্বশেষ জান্নাতী পাবে পৃথিবীর চেয়ে ১০ গুন বড় জান্নাত,সর্বশেষ জান্নাতী,jannat,jannah,jannati,জান্নাতী,জান্নাতী হুর কেমন হবে,সর্বশেষ জান্নাতি ব্যক্তির ঘটনা,
সর্বশেষ জান্নাতি ব্যক্তির ঘটনা মিজানুর রহমান আজহারী,জান্নাতের হুর কি বউ হবে?,জান্নাতের হুর,
জান্নাতের হুর কি বউ হবে? তাহলে নিজের স্ত্রীর কি হবে?, jannater kahini, জান্নাতের
কাহিনী, বেহেশতের বর্ননা, বেহেশত কি, বেহেশতে কারা থাকবে, জান্নাতের প্রথম দিন,
The first day of paradise, The heavens, Muslim heavens, Heavens after death, jannater
doa, জান্নাতের দোয়া, জান্নাতে কে কি পাবে, কারা জান্নাতে কি পাবে, জান্নাতের বিস্তারিত,
জান্নাতের আমল, জান্নাত পেতে কি করব, জান্নাতের রাস্তা কেমন হবে, কারা জান্নাতে যাবে,
জান্নাতে কোন পুরুষ থাকবে, জান্নাতে কোন নারী থাকবে, জান্নাতের হুর কেমন হবে, জান্নাতের
মনোরম পরিবেশ, জান্নাতের গাছ, জান্নতারে আসবাবপত্র, জান্নাতের খাবার, জান্নাতের গাছ,
জান্নাতের ফল, জান্নাতের দরজা, জান্নাতের পরিবেশ,
Post a Comment